উপহার পেয়েছিলেন মাত্র চারটি, এখন তাদের ছাগল-ভেড়া ৬৩টি

নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড়মল্লিকা এলাকার মুনসুর আলম সিদ্দিকী দুদু নিঃস্ব অবস্থায় তিনটি ভেড়া ও একটি ছাগল উপহার পেয়েছিলেন। আর সেগুলোকে লালনপালন করে মাত্র ছয় বছরে এখন তার ভেড়ার সংখ্যা ৫৩টি ও ছাগল ১০টি।

জানা গেছে, মুনসুর ২০১৬ সালে অসুস্থ অবস্থায় বিদেশ থেকে বাড়িতে ফেরেন। এরপর এক বছর বেকার ছিলেন। দিন কাটতো খেয়ে না খেয়ে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাকে একটি মা ভেড়া, দুটি বাচ্চা ও একটি ছাগল উপহার দেন। শুরু করেন ওই ভেড়া ও ছাগল পালন। বর্তমানে তিনি ৫৩ ভেড়া ও ১০ ছাগলের মালিক।

সরেজমিনে তার খামারে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে ভেড়া-ছাগলের পরিচর্যায় ব্যস্ত মনসুর। ওই ভেড়া-ছাগল নিয়েই যেন তার সংসার। দেখছেন নতুন দিনের স্বপ্ন।

মনসুর বলেন, আমার স্ত্রী শিল্পী বেগম সারাদিন ভেড়া ও ছাগলগুলোকে নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করে। আর আমিই বরং সহযোগী। গরু পালনের চেয়ে ভেড়া পালন লাভজনক। ভেড়া সব ধরনের ঘাস ও লতাপাতা খায়। এ কারণে ভেড়ার জন্য বাড়তি খাবার প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়াও ভেড়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে না।

তিনি জানান, ৮ থেকে ১০ মাস বয়সী ভেড়া বিক্রি হয় ১০-১৫ হাজার টাকায়। আর বাজারেও ভেড়ার চাহিদা রয়েছে। তাই সারা বছর ভেড়া বিক্রি করা যায়। তাছাড়া কোরবানির সময় ভেড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকে। 

শিল্পী বেগম বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক আমার স্বামীকে যে উপহার দিয়েছিলেন, তা থেকে ছয় বছরে সংসার চালিয়েও এখন ৫৩টি ভেড়া ও ১০টি ছাগলের মালিক হয়েছি। এই ভেড়া ও ছাগল বিক্রি করে ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছি। আমাদের সংসার এখন সুখের।

তিনি আরও জানান, আমার ভেড়া পালন দেখে প্রতিবেশী প্রায় ১০টি পরিবার ভেড়া পালন শুরু করেছে। গ্রামের অনেক মহিলারা আমার কাছ থেকে ভেড়া পালনের জন্য পরামর্শ নিতে আসেন।