বিএনপির আমলে দেশে কোনও পরিকল্পনা ছিল না: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে দেশে কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।’

শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকালে জেলার সার্বিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে ক্ষেতলাল সাঈদ আলতাফুন্নেছা সরকারি কলেজ মাঠে শিক্ষকদের অংশগ্রহণে দুদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক সমাবেশের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের উদ্যোগে শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মান্নোয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিকল্পনা না থাকলে কোনও জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। বর্তমান সরকারে স্বপ্ন ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের। সে কাজ শেষ করে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করায় বিশ্বে এখন মাথা উঁচু করে চলছে বাংলাদেশ।’

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারমান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বন্যা, ক্ষেতলাল পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম, ক্ষেতলাল সাঈদ আলতাফুন্নেছা সরকারি কলেজের প্রভাষক আমিরুল ইসলাম, কালাই হাতিয়র সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম ও তিলকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সন্যাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক সমাবেশ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হুইপের একান্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নোয়নে শিক্ষকদের ভাবনা গুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’ শিক্ষকদের কোনও প্রকার গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে সকাল ১০টায় আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক আলতাফুন্নেছা কলেজ মাঠে উপস্থিত হন। তারা নিজ নিজ উপজেলার বুথে গিয়ে নিবন্ধন করেন। জুমার নামাজের পর একসঙ্গে তিন উপজেলার সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক ও দেড় হাজার আমন্ত্রিত অতিথিসহ পাঁচ হাজার মানুষ ভূরিভোজ করেন।