নয়ন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ৪ আসামি, জানালেন খুনের কারণ

বগুড়ার গাবতলীতে হত্যাসহ ১৯ মামলার আসামি নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যার ঘটনায় ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার চার আসামি বুধবার (২২ মার্চ) বিকালে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ দিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা শায়লা বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে তারা নয়নকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন। বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন।

গ্রেফতার ও আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন- বগুড়ার গাবতলী উপজেলার চক মরিয়া গ্রামের সালাম প্রামানিকের ছেলে সাগর প্রামানিক (২২), মরিয়া গোলাবাড়ি গ্রামের জিন্নাত আলী প্রামানিকের ছেলে রকি প্রামানিক (২৪), মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের নিলু প্রামানিকের ছেলে জনি প্রামানিক (২৩) ও মহিষাবান দহপাড়ার মুক্তি সরকারের ছেলে সাকিল সরকার (২৩)।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, আসামিরা গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের মহিষাবান দেবোত্তরপাড়ার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ে নাহিদুল ইসলাম নয়নকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সেদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। পর দিন নিহতের মা নার্গিস বেগম ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত সাত জনের বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় হত্যা মামলা করেন।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়ন হত্যায় সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ও তদন্তে
পাওয়া আসামি সাগর, রকি, জনি ও সাকিলকে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নয়নকে হত্যার দায় স্বীকার করে। তারা জানায়, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে
আসছিল। এর জের ধরে তারা পরিকল্পিতভাবে নয়নকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যান। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।

ডিবি ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, গ্রেফতার আসামিদের আজ বিকালে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে তারা স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।