হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের মহব্বতপুর গ্রামে সাত হাজার টাকার জন্য হত্যা মামলার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও মামলার বাদী আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মামলার বাদীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে ক্ষেতলালের মহবতপুর গ্রামের আলম খাঁকে পাওনা সাত হাজার টাকার জন্য একই গ্রামের শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আরজু আরা বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি এজাহারের জন্য ক্ষেতলাল থানায় পাঠান। আদালতের নির্দেশে ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ক্ষেতলালে হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় ক্ষেতলাল থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম সাত জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শাহিনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ছয় আসামিকে খালাস দেন। এর মধ্যে এক আসামি মামলা চলাকালীন মারা যান। 

সেইসঙ্গে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় মামলার বাদী আলম খাঁর স্ত্রী আনজুয়ারার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।