নজর কাড়ছে ‘চিতা’, দাম ১৫ লাখ

চলতি ঈদ বাজারে সবার নজর কাড়ছে রাজশাহীর ‘চিতা’ নামের গরুটি। আদর করে এটির নাম চিতা রাখা হয়েছে। দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিষ্যপাড়া গ্রামের সুজিত চন্দ্র সরকার তিন বছর ধরে গরুটি লালনপালন করছেন।

ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির ওজন ২০ মণ বলে জানালেন মালিক সুজিত সরকার। ক্রেতাকে বাড়ি থেকে কিনতে হবে গরুটি। এটি ১০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা।

এ ছাড়া তার খামারে দুই বছর বয়সী ‘রোদ’, ‘বৃষ্টি’ ও ‘মেঘ’ নামে আরও তিনটি গরু রয়েছে। এর মধ্যে রোদের দাম সাড়ে ছয় লাখ, বৃষ্টির দাম সাড়ে পাঁচ লাখ এবং মেঘের দাম পাঁচ লাখ টাকা চাচ্ছেন সুজিত।

গরুগুলোর পেছনে দৈনিক খরচের বর্ণনা দিয়ে সুজিত সরকার বলেন, ‘সংসার পরিচালনার পাশাপাশি গরু লালনপালন করছি। প্রতিদিন চিতার খাবারে ব্যয় হয় ৪৫০-৫০০ টাকা। একইভাবে ৩০০-৩৫০ টাকা রোদ, বৃষ্টি ও মেঘের পেছনে খরচ হয়। আমার অনুপস্থিতিতে মা রেখা রানি ও স্ত্রী মুক্তি রানি সরকার গরুগুলো দেখভাল করেন। আদর করে গরুগুলোর এসব নাম রেখেছেন আমার মা। সবগুলো গরুকে আলাদা নামে ডাকা হয়। এরই মধ্যে অনেকে গরুগুলো কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে দামে না মেলায় এখনও বিক্রি করিনি।’

‘বৃষ্টির’ দাম সাড়ে পাঁচ লাখ

গরুগুলোর দৈনিক খাবারের বর্ণনা দিয়ে সুজিতের মা রেখা রানি সরকার বলেন, ‘সবগুলো গরু ফ্রিজিয়ান জাতের। কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, ভাত, চিটাগুড়, খড় ও খৈল খাওয়ানো হয়। গরুগুলোকে নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হয়। সবসময় ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়।’

বাগমারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবিব বলেন, ‘উপজেলায় অনেকগুলো বড় গরু রয়েছে। সেগুলো বাড়ি থেকে বিক্রির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গরুগুলোর ছবি দিয়েছি। আশা করছি, সবগুলো গরু বিক্রি হয়ে যাবে।’