পদ্মায় নেমে ৪ শিশু নিখোঁজ, দুজনের লাশ উদ্ধার

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে চার শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। রাজশাহীর দুই শিশুর লাশ সন্ধান করছে ফায়ার সার্ভিস দলের ডুবুরি দল। তবে পরিবেশ প্রতিকূল না থাকায় শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে উদ্ধার কাজ স্থগিত করেন তারা। শনিবার ভোর থেকে আবার উদ্ধার কাজ চালানো হবে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ এলাকা চরসাতবাড়িয়ায় পদ্মায় গোসলে নেমে চরসাতবাড়িয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে সিয়াম (১২) ও কাটাখালী থানার চরশ্যামপুর এলাকার নেকবর আলীর ছেলে সাজিদ (১২) নিখোঁজ হয়। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই।

জানা গেছে, সিয়ামের চাচার বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণে এসেছিল সাজিদ। কয়েকজন শিশুসহ তারা পদ্মায় গোসল করতে যায়। কিন্তু সিয়াম ডুবে গেলে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাজিদও ডুবে যায়। তবে বাকি তিন জন তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তারপর তারা স্থানীয়দের জানান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজে নামেন।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা লতিফুল বারী জানান, দুপুরের আগে পাঁচ জন মিলে নদীতে গোসলে আসে তারা। নদীতে নেমে সাঁতার কাটছিল। এর মধ্যে সিয়াম ডুবে যেতে লাগলে সাজিদ তাকে উদ্ধার করতে যায়। সেখানে সেও ডুবে যায়। দুই শিশুকে উদ্ধার করার জন্য ডুবুরিরা চেষ্টা চালিয়েছে। তবে স্রোত থাকায় ও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে আবার উদ্ধার করা হবে। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি ইউনিটকে পাঠানো হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সেখানে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুজন হলো- সোনা পট্রি গ্রামের  রেহসান আলীর মেয়ে রেসমা খাতুন (৭) ও কটা পাড়ার মো. গুমানির মেয়ে মোসলেমা খাতুন (১৪)।

তাদের আত্মীয় মজিবুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরবাগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম ঘাটে পদ্মা নদীতে গোসলে যান মামাতো ফুফাতো বোন রেসমা ও মোসলেমা। এ সময় নদীতে ডুবেই মারা যান দুই বোন। পরে স্থানীয়রা রেসমার লাশ উদ্ধার করলেও ফায়ার সার্ভিস অপরজনের লাশ বিকালে উদ্ধার করে।