স্ত্রীকে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে আটক

গৃহবধূকে মারধর করে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর ভুক্তভোগীকে বাবার বাড়িতে রাখতে গেলে তার স্বামীকে আটকে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়েকে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়ায় এর বিচার দাবি করেন তারা। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে অভিযুক্তকে আটকে রাখে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় ছয় বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরনাপৈল ইউনিয়নের শাল গ্রামের মুমিন হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকে নির্যাতন চলতে থাকে তার ওপর। তাদের দুটি সন্তানও জন্ম নেয়। শুক্রবার  রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবারও স্বামী জাহাঙ্গীর, শাশুড়ি জায়েদা বেগম ও ননদ মুর্শিদা বাড়ির দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারধর করে ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কেটে ফেলে।

ভুক্তভোগী বলেন, এতদিন শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব নির্যাতন সহ্য করেছি। ভেবেছিলাম, একদিন হয়তো আমার স্বামী ভালো হবে। কিন্তু  আবারও স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় দড়িয়ে পেঁচিয়ে মারধর ও নির্যাতন করতে থাকে। এরপর ব্লেড দিয়ে আমার মাথার চুলও কেটে দেয়। পরে আমার শ্বশুর এসে আমাকে বাঁচায়। আজ আমাকে দুই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে রাখতে এলে আমার মা-বাবাসহ প্রতিবেশীরা এই অবস্থা দেখে আমার স্বামীকে আটক করে রেখেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভুক্তভোগীর মা জরিনা বেগম বলেন, মেয়ের সুখের কথা ভেবে মেয়েকে সব কিছুই দিয়েছি। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমার মেয়েটাকে মারধর করছে। মেয়েকে নির্যাতন ও মাথার চুল কাটার সুষ্ঠু বিচার চাই।

পাঁচবিবি থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।