বগুড়ায় ৩ দিনের কর্মবিরতিতে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বগুড়ায় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) থেকে তিন দিনের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো শিক্ষকদের এ কর্মসূচির কারণে জেলার সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, এ সময়ের মধ্যে কোনও আশ্বাস না পেলে কেন্দ্রীয়ভাবে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি গত ২৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

তাদের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি হলো—আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদ সৃজন ও স্কেল আপগ্রেডেশন। বগুড়ায় অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত ‘কৃত্য পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।

এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সমর্থনে মঙ্গলবার সকালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ রাখেন। তারা কলেজের নতুন ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হন। এতে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

বক্তারা অবিলম্বে তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের পদ সৃজন অপরিহার্য। বর্তমানে সরকারি কলেজসহ শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত ১৬ হাজার কর্মকর্তার বাইরে আরও ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়।

৯ বছর আগে করা সেই প্রস্তাবগুলো আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। জেলার অন্যান্য সরকারি কলেজেও একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে একই দাবিতে গত ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেন সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।