বগুড়ায় যুবককে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রোহান চৌধুরীকে (২৪) প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে নিহতের বাবা কামাল চৌধুরী সদর থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

গ্রামবাসী ও স্বজনরা জানান, নিহত রোহান চৌধুরী বগুড়া সদরের মানিকচক গ্রামের কামাল চৌধুরীর ছেলে। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে মানিকচক গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান শাওনের সঙ্গে কুটুরবাড়ি দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়ার বিরোধ চলছিল। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুটুরবাড়ি মধ্যপাড়ায় শাওন ও তার লোকজন সেলিমকে কুপিয়ে জখম করেন। তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। সেলিমের বাবা রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বর গিয়াস উদ্দিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর সদর থানায় মামলা করেন।

র‌্যাব সদস্যরা ১০ অক্টোবর সকালে শাওনকে গ্রেফতার করেন। ওই দিন দুপুরে আহত সেলিমের পক্ষে গ্রামবাসীরা আসামিদের গ্রেফতারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ১১ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেলিমের লোকজন জয়বাংলা হাট এলাকায় ওই মামলার ২নং আসামি রোহান চৌধুরীকে আটক করেন। তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মারধরে আহত হন সেলিম নামে অপর আসামি।

এদিকে ১২ অক্টোবর দুপুরে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীরা রোহানের লাশ নিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানিকচক এলাকায় প্রায় ১৫ মিনিট দ্বিতীয় বাইপাশ সড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া তারা বগুড়া পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মিন্টুর বাড়ির সামনে লাশ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বজনরা রোহানের লাশ নিয়ে বাদ আসর দাফন করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সেলিমের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য ও কৃষক লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর মিন্টু ও তার মামা গিয়াস উদ্দিন সপরিবারে আত্মগোপনে চলে গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই বেদার উদ্দিন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তারা আত্মগোপন করায় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।