বগুড়ায় পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা

বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ ইসলামকে (১৮) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে অজ্ঞাতদের আসামি করে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলাটি করেন জুনায়েদের বাবা।

নিহত জুনায়েদ শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার দক্ষিণ বেজোড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুই জন আহত হন। তারা হলেন শাজাহানপুরের সুজাবাদের বালাপাড়ার আবদুল হান্নানের ছেলে মিল্লাত হাসান (১৪) ও নন্দগ্রামের আবদুল গাফফারের ছেলে অটোরিকশাচালক জাকিরুল ইসলাম (৩০)। তারা বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার হেলেঞ্চা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে জুনায়েদ ও মিল্লাত হাসান বনানী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে দুটি মোটরসাইকেলে চার-পাঁচ জন যুবক বনানী বাজার থেকে হেলেঞ্চার দিকে যাচ্ছিলেন। দ্রুতগতিতে এলোমেলোভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তাদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করেন অটোরিকশার যাত্রীরা। তখন মোটরসাইকেল আরোহীরাও পাল্টা কটূক্তি করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা ছুরিকাঘাত করলে জুনায়েদ, জাকিরুল ও মিল্লাত আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে জুনায়েদ মারা যান। আহত দুই জনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কটূক্তির জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি। অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ওই এলাকার আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’