পাবনায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, সভাপতিসহ আহত ৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসনভিত্তিক আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ পাঁচ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বর্ধিত সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা চলছিল। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মুস্তাকিম মুহিবের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের সঙ্গে মুস্তাকিম ও তার অনুসারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষ। এতে সবুজসহ পাঁচ জন আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে বর্ধিত সভার কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মুস্তাকিম মুহিব বলেন, ‘দুই বছর ধরে ছাত্রলীগের কোনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে আগের কমিটির নেতারা কার্যাক্রম চালাচ্ছেন। কমিটি না হওয়ায় অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। সদর থানা ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক উপজেলায় বছরের পর বছর কমিটি নেই। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ ১৩২ জনের কমিটিতে ৩০ জনও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নেই। কাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি গঠন করলেন সভাপতি? কমিটিতে কেন প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রাখা হয়নি? এসব নিয়ে বর্ধিত সভায় প্রশ্ন করলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার ওপর চড়াও হন। তখন আমি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর শুনেছি সেখানে হট্টগোল ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারা ঘটিয়েছে, তা জানি না।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করছিলাম। এ সময় আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মুস্তাকিমের অনুসারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার প্রতিবাদ জানাই। ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অনুরোধ করবো, সন্ত্রাসীদের ছাত্রলীগে স্থান নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’

এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কোনও পক্ষ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’