সাংবাদিকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ৬ দিন পর মামলা

বগুড়ার আদমদীঘিতে ভোরের কাগজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলামের (৫৬) খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আদমদীঘি থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আদমদীঘি উপজেলার উজ্জ্বলতা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই গ্রামের স্টার ক্লাবে অনুষ্ঠান ছিল। খাবার শেষে রাত ১০টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়কে পার্শ্ববর্তী দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে পৌঁছে দেন। এরপর বাড়ি ফেরার পথে আদমদীঘির মুরইলে জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন।

খবর পেয়ে রাত ১১টার পর আদমদীঘি থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেন। তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়েছিল। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।

আদমদীঘি থানার এসআই প্রদীপ কুমারের ধারণা, বাস বা ট্রাকের ধাক্কায় সাংবাদিক মঞ্জু মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যান। এরপর ওই যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। তবে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীরা এটি হত্যাকাণ্ড দাবি করে আসছিলেন।

এদিকে অনেক জল্পনা কল্পনার পর নিহত সাংবাদিকের ছোট ভাই মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার আদমদীঘি থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান, সাংবাদিক বেনজির রহমান, মিহির সরকার আনোয়ার হোসাইন, আবদুল মোত্তালেব হোসেন মতি প্রমুখ সাংবাদিক মঞ্জুর মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। তারা বলছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এভাবে শরীর দ্বিখণ্ডিত হওয়ার সুযোগ কম। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এটি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। হত্যা হলে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই দুর্ঘটনা নাকি হত্যা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।