একই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মা-ছেলে ও নাতি

বগুড়ায় তৃতীয় ধাপে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মা, ছেলে ও নাতি প্রার্থী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ নিয়ে উপজেলা এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, মূল প্রার্থী ছেলে। মা আর ভাগনে হলো ডামি।

প্রার্থীরা হলেন বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাপার সংসদ-সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর শ্যালক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, তার মা ফাতেমা বেগম (এমপির শাশুড়ি), রিজুর ভাগনে জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হুসাইন শরীফ সঞ্চয় (এমপির ছেলে) এবং শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা। নির্বাচনে রিজু মোটরসাইকেল, মা ফাতেমা কাপ-পিরিচ, ভাগনে সঞ্চয় ঘোড়া এবং মোস্তা আনারস প্রতীক চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা বেগম, তার ছেলে ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, মেয়েপক্ষের নাতি হুসাইন শরীফ সঞ্চয়ের নাম থাকায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ভোটারদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।

সংসদ-সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (ফাইল ছবি)

চেয়ারম্যান পদে অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা জানান, একই পরিবার থেকে তিন জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনি নিশ্চিত করে এর কারণ বলতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বলেন, ‘ছেলে থাকলে মায়ের (ফাতেমা বেগম) থাকার সম্ভাবনা নেই।’ তবে তিনি ভাগনে হুসাইন শরীফ সঞ্চয়ের ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার জানান, ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর ব্যাংকসংক্রান্ত ঝামেলা আছে। কোনও কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হলে মা ও ভাগনেকে ডামি প্রার্থী করেছেন। ঝামেলা না হলে মা ও ভাগনে নির্বাচন থেকে সরে যাবেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘মোট ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চার জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন। আগামী ৫ মে বেলা ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিস মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র বাছাই, ৬-৮ মে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, ৯-১১ মে আপিল নিষ্পত্তি, ১২ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৩ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। সর্বশেষ ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হবে।’