চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলায় নারী নিহত

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তিওরকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (৫০)। তার স্বামীর নাম আবদুল জব্বার। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের প্রতিবেশী। রিয়াজুল তাকে ফুফু ডাকেন। সংঘর্ষে ফেরদৌসির স্বামী আবদুল জব্বারসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জিন্নাত আলী নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ছয় জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থক। প্রতিবেশী মামুনুর রশিদসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা বিএনপির কর্মী-সমর্থক। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা কয়েকদফা বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কয়েকদফা মারামারির ঘটনাও ঘটে।

এর জেরে শনিবার সকালে মামুনুর রশিদ তার লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। ওই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে হামলা হলে প্রতিবেশীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা জানান, হামলায় ফেরদৌসি বেগম গুরুতর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ওসি জানান, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তারা ৫-৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়েছেন। কারা কারা হামলার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। হামলায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে। আর ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।