বগুড়ায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন নামের রেনেটা লিমিটেডের এক বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফটকি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার হোসেন (৩১) নওগাঁর মান্দা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। ১০ বছর আগে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনেটা লিমিটেডে সহকারী পরিবেশন কর্মকর্তা (সহকারী ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা) পদে চাকরিতে যোগ দেন। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর আকন্দপাড়ায় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানায় এখনও মামলা হয়নি। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে জানায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু নয়; হত্যাকাণ্ড।

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের গতি ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়, আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হওয়ার পর লাশটি হেফাজতে নেয় শাজাহানপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে ওই থানার পুলিশ।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিহতের মোবাইল ফোনটি খোয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ধস্তাধস্তি করলে ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে আনোয়ার হোসাইনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।’