রাবি শিক্ষক ড. শফিউল হত্যা মামলায় যুবদল নেতা উজ্জ্বল কারাগারে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে উজ্জ্বল রাজশাহী মহানগর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোকসেদা আজগরের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন। হত্যাকাণ্ডের ৫ ঘণ্টার মাথায় ফেসবুক পেজে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে হত্যার দায় স্বীকার করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালে ৩০ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক। কিন্তু এই মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ গঠন করেনি আদালত। অভিযোগ গঠনের দিন কবে ধার্য্য করা হয়েছে তা বলতে পারেনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
রাবি শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাসআবারও সড়ক অবরোধ, বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক

অভিযোগপত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শিক্ষক শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আব্দুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমাকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকেই উজ্জ্বল পলাতক ছিলেন।

/বিটি/টিএন/