চলতি আমন মৌসুমে দিনাজপুরের দুই লাখ ৫৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। পাশের জেলা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও মিলে এই জমির পরিমাণ চার লাখ ৯০ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে অনেক জমিতে হঠাৎ করে কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরপরই এই পোকার আক্রমন দেখা দেয়। সঠিক সময়ে কীটনাশক দিয়ে কেউ কেউ ফসল রক্ষা করতে পারলেও অনেকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের মতে, এই পোকা কোনও ফসলে আক্রমন করলে দ্রুত তা পুরো ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো ফসল নষ্ট করে দেয়। আর আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিলেও ফলন কমে যায়। তাদের অভিযোগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিক সময়ে তাদের কোনও পরামর্শ দেয় না। এ কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তাদের দেরি হয়ে যায়।
দিনাজপুরের সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের বলতৈড় গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই পোকা এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো ফসল নষ্ট করে ফেলে।’ কৃষক আজিজার রহমান বলেন, ‘এই এলাকায় কৃষি কর্মকর্তাদের তেমন একটা পাওয়া যায় না। এ কারণে অনেক সময় কীটনাশক ডিলারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হয়।’
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, এই পোকার প্রকৃত নাম বাদামী গাছ ফড়িং। এই পোকা দ্রুত ফসল নষ্ট করে বলে কৃষকরা একে কারেন্ট পোকা নামে ডাকে। এখন পর্যন্ত যে পোকা ধরেছে, তা ক্ষতিকর পর্যায়ে নেই বলে দাবি করেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জুলফিকার হায়দর আমন ধানে এই পোকার আক্রমন হয়েছে স্বীকার করে জানান, এখনও এটি নিয়ন্ত্রন বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধের অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, সার্বক্ষনিকভাবে কৃষি কর্মকর্তারা মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রেখেছে এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
/এআরএল/
আরও পড়ুন: