আহতরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকতারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজু আহম্মেদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শামীম। বাকি পাঁচ পুলিশ সদস্যদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, রংপুর চিনিকলের ওই ইক্ষু খামারের ১ হাজার ৮৪২ একর জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠিদের (সাঁওতাল) সঙ্গে চিনিকল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ইক্ষু খামারের শ্রমিক-কর্মচারীরা পুলিশ পাহাড়ায় বাগদা-কাটা সংলগ্ন এলাকার ওই জমিতে তাদের রোপন করা আখ কাটতে যায়। কিন্তু খামারের জমি অবৈধভাবে দখল করে থাকা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠিদের (সাঁওতাল) কতিপয় দখলদাররা তাদের বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশ ও চিনি কলের শ্রমিক-কর্মচারীদের উপর তীর ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ বেশ কয়েক টিআর সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সাহেবগঞ্জ ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সরকার জানান, আখ কাটার নামে চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি (সাঁওতালদের) বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ চাষের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ওই এলাকায় ১ হাজার ৮৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। ওইসব জমিতে উৎপাদিত আখ চিনিকলে সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত ১ জুলাই প্রায় ১০০ একর জমি দখল করার উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাঁতাল সম্প্রদায়ের লোকজন একচালা ঘর নির্মাণ করেন।
সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার জমি উদ্ধার কমিটির সহ-সভাপতি সিলিমিন বাক্সে বলেন, ‘চিনিকল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের সময় চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয় কখনো ওই সব জমিতে আখ ছাড়া অন্য ফসলের চাষ হলে প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু কিছুদিন ধরে ওই সব জমিতে ধান ও তামাক চাষ হচ্ছে। অথচ জমি ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে আন্দোলন করেও কাজ হয়নি। তাই তারা জমি দখল করেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আউয়াল বলেন, ‘অভিযোগটি ভিত্তিহীন। অধিগ্রহণের সময় চুক্তিনামায় বলা হয়, কখনো চিনিকল বা খামার বন্ধ হলে সে ক্ষেত্রে ওই সব জমি সরকারের কাছে চলে যাবে।’
/এমডিপি/