ঋণ জালিয়াতি মামলায় জাপা’র হুইপ শওকতের জামিন বাতিলে রুল

শওকত চৌধুরীবাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় সৈয়দপুরের জাতীয় পার্টির বিরোধী দলীয় হুইপ ও নীলফামারী চার আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি, হাইকোর্টের রুলে আগামী ১০দিনের মধ্যে শওকত চৌধুরীকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এজন্য পরবর্তী শুনানি চলতি বছরের আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
শওকত চৌধুরী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় সংসদীয় কমিটির সদস্যও বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, তিনি জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স অ্যাগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেড ও উদয়ন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ উত্তেলান করেন।

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন জানান, একই মামলায় ব্যাংকটির এমডি ড. মো. আসাদুজ্জামান ও ঢাকা বংশাল ব্যবস্থাপক হাবিবুল গনির জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির সময় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।
আদালতে আসাদুজ্জামানের পে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ও হাবিবুল গণির পে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার শুনানি করেন। এছাড়া দুদুকের পে খুরশীদ আলম খান ও বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকের পে ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।

ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, জালিয়াতির মূলহোতা শওকত আদালত থেকে জামিনে আছেন। আদালত এমপি শওকতের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মোট আমানতকৃত অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। সেখানে প্রায় কোটি টাকা একজনই ঋণ জালিয়াতি করেছেন যা মোট আমানতের অর্ধেকেরও বেশি।

জানা যায়, ওই শাখা থেকে চলতি বছরের ৮মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে এমপি শওকতসহ ৯ জনের নামে দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।

২০১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স অ্যাগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেড ও উদয়ন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। বর্তমানে মামলাটি দুদক তদন্ত করছেন।

/এআর/