আব্দুল জলিল মণ্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এমিল ছাদেকিন সম্রাট ওই কর্মসূচির গত নভেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি ওজনের ৮৮১ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। গত ২৯ নভেম্বর হতদরিদ্রদের মাঝে ওই চাল বিতরণ করেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি মোবইল ফোনে তাকে জানান তার কেন্দ্রের ৮৮১ জনের মধ্যে চাল বিতরণ শেষ। কিন্তু রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে ওই ডিলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ছিলামনি বাজারে তার নিজস্ব গোডাউন থেকে ৬৫ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রলিতে করে পাচারের উদ্যোগ নেন। এসময় স্থানীয় জনগণ টের পেয়ে ওই গাড়িসহ তা আটক করে। উত্তেজিত জনগণ তার ওই গোডাউনেও তালা লাগিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ হাবিবুল আলম ও তিনি পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিলারের ওই গোডাউন থেকে আরও ১৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াহেদকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ হাবিবুল আলম জানান, এ ঘটনায় দোষী যেই হোক না কেন, তদন্ত স্বাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
/এআর/