রাজীবের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের ভূতমারা গ্রামে। তার বাবার নাম ওসমান মোল্লা এবং মায়ের নাম রাহেলা বেগম। শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের অ্যালেঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল এ) সনাতন চক্রবর্তী জানান, ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় ১০ জেএমবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু চার্জশিট দাখিল করার আগেই পুলিশের গুলিতে তিন আসামির মৃত্যুর কারণে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে একটি এবং জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী, সাদ্দাম, রিয়াজুল ও গোলাম রব্বানী নামে চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে পৃথক আরও একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে চারজনকে ইতোপূর্বে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য তিন পলাতক আসামি জাহাঙ্গীর, সাদ্দাম ও রিয়াজুলের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন গত ৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় মারজানসহ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
এর আগে, গতবছরের ৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ডিবি পুলিশের একটি টিম জেএমবি সদস্য গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রামে নিয়ে আসে। আর ২৮ এপ্রিল আবু নাসের রুবেল (২০) এবং মাহবুব হাসান মিলন (২৮) এবং ২ মে হাসান ফিরোজ (২৩) নামে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলার দশ আসামির মধ্যে চারজন পুলিশের গুলিতে নিহত এবং ৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তবে চার্জশিটভুক্ত এক আসামি এখনও পলাতক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মার্চ কুড়িগ্রামের গাড়িয়াল পাড়া এলাকায় সকালে নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ধর্মান্তরিত খ্রিস্ট্রান মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে। হত্যাকারীরা ককটেল ফাটিয়ে হত্যার পর মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
/এমও/এফএস/