যানজটে বিপর্যস্ত গাইবান্ধা শহর

Gaibandha Janjot-3তীব্র যানজটের কারণে গাইবান্ধা শহরবাসীর জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তা ডিবি রোডের যানজটে নাগরিক জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তাই যানজট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবি শহরবাসীর।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ীর পূর্বে ২০ কিলোমিটার দূরে গাইবান্ধা জেলা শহরের অবস্থান। সাড়ে ১০ বর্গ কিলোমিটারের শহরে প্রায় ১ লাখ মানুষের বসবাস। কিন্তু শহরের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য একটি মাত্র রাস্তা তা হলো ডিবি রোড। প্রতিদিন শহরের প্রবেশদ্বার ডিসি অফিস থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড, ডিবি রোড়, ১ নম্বর রেলগেট ও সার্কুলার রোড হয়ে পুরাতন জেলখানা মোড় পর্যন্ত সবসময় লেগেই থাকে যানজট।

শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কোনও বাইপাস সড়ক না থাকায় এবং অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা শহর এখন পরিণত হয়েছে যানজটের শহরে। শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া একটি মাত্র সংকীর্ন রোড দিয়েই প্রতিদিন চলছে রিকশা-ভ্যান, অটো বাইক, সিএনজি, বাস ও ট্রাকসহ নানা ধরণের হাজারো যানবাহন।

Gaibandha Janjot-2সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিবি রোড়ে সব সময় লেগে থাকে যানজাট। যানজটের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া জরুরী রোগ বহনে অ্যাম্বুলেন্স ও আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও পড়তে হয় যানজটের কারণে। তাই যানজট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে শহরবাসীর দাবি একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের।

গাইবান্ধা ট্রাফিক বিভাগের (সার্জেন্ট) মো. ফিরোজ কবীর বলেন, ‘প্রতিদিন শহরে যানজটের কারণে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছি। তারপরেও শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে। শহরে বাইপাস বা বিকল্প কোনও সড়ক নির্মাণ হলে যানজট থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী। ‘  

Gaibandha Janjot-1গাইবান্ধার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শহরের যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। তবে শহরের যানজট মোকাবেলায় ডিবি রোড় চার লেন করার প্রস্তাব মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।’

/এমডিপি/