চাহিদা কমে যাওয়ায় হিলিতে ভারতীয় কয়লা আমদানি বন্ধ

হিলি শুল্ক স্টেশন

দেশীয় কয়লার মান ভালো হওয়ায় দেশের বাজারে আমদানি করা ভারতীয় কয়লার চাহিদা কমেছে। এছাড়া আমদানি মূল্যের সঙ্গে আরোপিত শুল্ক পরিশোধ করে দেশের বাজারে দাম না পাওয়ায় ভারতীয় কয়লা আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। ফলে গত দুবছর ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুবছর আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক কয়লা আমদানি হতো। সর্বশেষ ২০১৫ সালের মে মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি হয়েছে। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যাএফ এজেন্ট ফিরোজ হাসান জানান, বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এক টন কয়লা আমদানিতে প্রায় ১১শ থেকে ১২ শ টাকা শুল্ক আরোপ রয়েছে। আরোপিত শুল্ক পরিশোধ করে কয়লা আমদানিতে লাভ না থাকায় আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। তবে সিলেটের হালুয়াঘাট ও তামাবিল দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি চালু রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের কয়লা ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, দেশের মধ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লার মান আমদানিকৃত কয়লার চেয়ে অনেক গুণে ভালো। ইটভাটাসহ বিভিন্ন কারখানায় বড় পুকুরিয়ার এক কেজি কয়লায় যে ফল পাওয়া যাবে সেই ফল পেতে ভারতীয় কয়লা আড়াই কেজি লাগে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় পুকুরিয়ার কয়লার চাহিদা ব্যাপক। ২০১৫ সালে কারিগরি ত্রুটির কারণে বড় পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় দেশের বাজারে ভারতীয় কয়লার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। সেসময় ভারত অংশে সমস্যা থাকায় দেশের অন্যান্য বন্দরগুলো দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকে। ওই সময় শুধু হিলি বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি করা হতো। পরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ার ফলে ভারত থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গত প্রায় দুবছর ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।

ভারত থেকে আমদানিকৃত কয়লা দেশের বাজারে প্রকারভেদে টনপ্রতি ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর বড় পুকুরিয়ার কয়লা টনপ্রতি ১২ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, আগে কয়লা আমদানি হলেও দু’বছর ধরে হিলি বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

 

/এসটি/