‘ডা. কাদেরের পিস্তলের ৪০ রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিনের হদিস নেই’

ডা. আব্দুল কাদের খাঁন
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খাঁন তার পিস্তলের ৫০ রাউন্ড গুলির মধ্যে ১০ রাউন্ড গুলি পুলিশের কাছে জমা দিলেও বাকি ৪০ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিনের কোনও হদিস এখনও মেলেনি।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কর্নেল আবদুল কাদের খাঁন গত বছরের ১০ মার্চ একটি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি কেনেন। পিস্তলের সঙ্গে দুটি ম্যাগাজিনও ছিল। লিটন হত্যাকাণ্ডের পর সম্প্রতি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলির বিষয়ে কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এরপর তিনি তিন দিন আগে পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিন পুলিশের কাছে জমা দেন। বাকি ৪০ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন তিনি জমা দিতে পারেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনের গাড়িচালক আবদুল হান্নান, কাজের ছেলে মেহেদী ও শাহীনকে মঙ্গলবার ভোররাতে শহরের ব্রিজ রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় তারা বলেন, লিটন হত্যায় তারা কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনের দেওয়া পিস্তল ব্যবহার করেছেন। লিটন হত্যায় যে পিস্তল ও গুলি ব্যবহার করা হয় তা কাদের খাঁনের পিস্তল ও গুলির সঙ্গে মিল রয়েছে।’

এর আগে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের লিটন হত্যাকাণ্ডে কর্নেল কাদের খাঁন জড়িত থাকার কথা তুলে ধরেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। এ সময় তিনি কাদের খাঁনের একটি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি সংগ্রহ করার কথা জানান।

প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

/বিটি/

আরও পড়ুন:

‘লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জাপা নেতা কাদের’