ওসি কুনিও হত্যা মামলার রায় আজ

RANGPUR JANGI PHOTOজাপানি নাগরিক ওসি কুনিও হত্যা মামলার রায় আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। আর এটিই হবে নব্য জেএমবির জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রথম রায়।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি আব্দুল মালেক জানান, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক ওসি কুনিও রিকশায় তার ঘাসের খামারে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানার তৎকালীন ওসি রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে মাসুদ রানা নামে এক জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জাপানি নাগরিককে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করে। জবানবন্দিতে সে তার সহযোগী জঙ্গিদের নামও প্রকাশ করে। এরপর জঙ্গি এছাহাক আলী ও লিটন গ্রেফতার হলে তারাও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

তদন্ত শেষে গত বছরের ৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী আট জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এদের মধ্যে মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন, সাখাওয়াত ও আবু সাঈদ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক আছে। বাকি তিন আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান, সাদ্দাম হোসেন ও আহসান উল্লাহ আনছারী পলাতক ছিল। মামলা চলাকালীন পলাতক তিন আসামির মধ্যে সাদ্দাম ও বাইক হাসান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বর্তমানে আহসান উল্লাহ আনছারী পলাতক আছে। মামলায় বাদীপক্ষে ৫৫ জন এবং আসামিপক্ষে একজন সাফাই সাক্ষী দেয়। মোট ৬০ কার্য দিবসে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারক আজ মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

পিপি আব্দুল মালেক আরও জানান, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য জেএমবি সদস্যরা বিদেশি নাগরিকদের হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী তারা জাপানি নাগরিক ওসি কুনিওকে  হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকাণ্ডের তিন মাস আগে থেকে তারা রংপুর নগরীর নুরপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেই তারা জাপানি নাগরিকের গতিবিধি চলাফেরার ওপর নজরদারি শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে তারা পরিকল্পিতভাবে ওসি কুনিওকে গুলি করে হত্যা করে।

পিপি বলেন, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

/বিএল/এফএইচএম/