গাইবান্ধার বাদিয়াখালি সেতুর ওপর ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

Gaibandha Setu Photo 02গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের বাদিয়াখালি এলাকায় আলাই নদীর ওপর নির্মিত ইস্পাতের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে হাজারও যানবাহন। এতে প্রায়ই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ প্রশাসনকে জানানের পরও নতুন করে কোনও সেতু নির্মাণে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

প্রায় সাত বছর আগে বন্যায় সেতুর একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরে সেতুটি মেরামত না করে তার ওপর স্থাপন করা হয় ইস্পাতের বেইলি সেতু। অথচ জেলা শহরের সঙ্গে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অসংখ্য মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি।

গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের পুরাতন বাদিয়াখালি নামক স্থানে আলাই নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। ১৬ এপ্রিল ২০১০ সালে সেতুর উত্তর অংশের কংক্রিটের পাটাতন ধসে যায়। ওইদিন থেকে প্রায় একমাস জেলা শহরের সঙ্গে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকে। এরপর গাইবান্ধা সওজ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কংক্রিটের সেতুর পুরো অংশের ওপর একটি ইস্পাতের বেইলি সেতু স্থাপন করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এই সেতুর ওপর দিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে। অথচ নতুন সেতু নির্মাণে সওজ বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।

বাদিয়াখালি এলাকার স্কুল শিক্ষক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘বাদিয়াখালি বাজারে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট। ফলে সব সময় মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ভিড় লেগেই থাকে। দুর্বল ভিত্তির ওপর বেইলি সেতু স্থাপন করায় তা আরও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে দুইদিক থেকে সেতুতে উঠতে গিয়ে যানবাহন উল্টে দুঘর্টনা ঘটছে।’

বাদিয়াখালি বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা বিমল কুমার বলেন, ‘সেতুটি দিয়ে গাড়ি চলাফেরা করার সময় অনেক যানবাহন উল্টে পাশ্ববর্তী দোকানের ওপর পড়ছে। ফলে সেতুর আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীদের উৎকণ্ঠায় থাকতে হচ্ছে’।

গাইবান্ধা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম খান বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণসহ সেতু নির্মাণের জন্য ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প সড়ক অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’

/এমডিপি/