নীলফামারীতে নিহত দুই কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেছে

নীলফামারী

নীলফামারীর ছিলাহাটি রেললাই থেকে বুধবার উদ্ধারকৃত দুই কিশোরের মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো, ভ্যান চালক জামাল হোসেনের ছেলে মঈনদ্দিন ওরফে মহিন (১৫) ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুস সোহবান আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রসুল (১৩)। বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই কিশোরের পরিবারের লোকজন এসে লাশ সনাক্ত করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান। 

তাদের দুইজনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামে। মাহিন ঠাকুরগাঁও খালপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং রসুল নিজ গ্রামের সিঙ্গিয়া উলুমত হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।

মহিনের বাবা ও রসুলের বাবা জানায়, তাদের সন্তান গত ২১ মার্চ দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ হয়। গতকাল ২২ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় তারা খবর পায় নীলফামারীতে দুই কিশোরের লাশ পাওয়া গেছে। ওই সূত্র ধরে তারা নীলফামারী এসে লাশ সনাক্ত করে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ‍দুটি  জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার এসআই  আল -ইমরান আলী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা দুইজন ট্রেনে কাটা পরে নিহত হয়নি।  কারণ তাদের শরীরে আঘাতের কোনও চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রির্পোটের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান জানান,  লাশ উদ্ধারের সময় তাদের কাছে মোবাইল পাওয়া যায়। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে রাতে বিভিন্ন নাম্বারে ফোন দেওয়া হয়। এর ফলে বেরিয়ে আসে মৃহদেহ দুইটির পরিচয়।

উল্লেখ, গতকাল বুধবার সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মীরজাগঞ্জ রেলস্টেশনের ১ কিলোমিটার উত্তরে মাঝাপাড়া ও সওদাগড়পাড়া গ্রাম দুইটির সীমারেখার রেল লাইনের উপরে ওই দুই কিশোরের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় খবর দেয়।

থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান পুলিশের একটি দল নিয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে গতকাল বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: চবি শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার