জেএমবি ছেড়ে সুপথে আসায় রাব্বীকে হত্যা করে জঙ্গি রাজীব

জঙ্গি রাজীব গান্ধীপুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে সুপথে ফিরে আসে জেএমবি’র প্রাক্তন সদস্য ফজলে রাব্বী। এ কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জঙ্গি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী। জেলা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সাইদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জয়নুল আবেদীনের আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জেএমবি সদস্য ফজলে রাব্বীকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি রাজীব গান্ধী। সে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর ভূতমারি গ্রামের মাওলানা ওসমান গণি মণ্ডলের ছেলে।

জেলা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সাইদুর রহমান জানান, ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই রাতে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি এলাকায় জেএমবি সদস্য ফজলে রাব্বীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার পথরোধ করে চার দুর্বৃত্ত। এরপর তারা তার মাথায় গুলি করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।

সাইদুর রহমান আরও জানান, জেএমবি সদস্যের গুলিতে মৃত্যুর কিছুদিন আগে রাব্বীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সে জামিনে ছাড়া পায়। জামিন পেয়ে রাব্বী জেএমবির সংগঠন ছেড়ে সুপথে ফিরে আসে। এ কারণেই রাব্বীকে পরিকল্পিতভাবে রাজীব গান্ধী ও তার সহযোগীরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে বলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে রাজীব গান্ধী স্বীকার করেছে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকালে সিআইডি পুলিশ রাজীব গান্ধীকে জেএমবি সদস্য রাব্বী হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির করে। পরে রাজীব গান্ধী এ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

এর আগে বিকালে পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান ডিপটিকে গুলি করে হত্যা মামলায় রাজীব গান্ধীকে একই আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চায় সিআইডি পুলিশ। পরে বিচারক তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

/এআর/জেএইচ/