‘দেশে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করছে একটি মহল’

নীলফামারীতে খাদ্যমন্ত্রীখাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করছে একটি মহল। অথচ দেশে প্রচুর খাদ্য মজুদ রয়েছে। অহেতুক, ভুল খবর দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রি মহল।’

বুধবার (১৭ মে) দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও খাদ্য সংকট সৃষ্টির পেছনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমাদের বোরো ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৯১ লাখ মেট্রিকটন। এখন এ পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তাতে মনে হয় আমরা এখনও ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিকটন ফসল পাবো।’

তিনি আরও বলেন, হাওরে ধানের যে ক্ষতি হয়েছে সেখানে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অথচ বিএনপিসহ একটি কুচক্রি মহল নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এতে কান না দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের বঞ্চিত করে মধ্যস্বত্বভোগীরা যদি কার্ড নিয়ে নেয়, তাহলে আমাদের অফিসারদের প্রতি কঠোর নির্দেশ থাকবে- তারা আরও সর্তকতা অবলম্বন করবেন।এক্ষেত্রে খাদ্যবিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত  ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনে দুদকের মামলা দায়ের করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রী।

সভায় নীলফামারীর ২৫ জন মিলারের সঙ্গে ১৫ হাজার ২৫ মেট্রিকটন চাল কেনার চুক্তি হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, রংপুর বিভাগের খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবীর, জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

/বিএল/