রংপুরে অস্ত্র মামলায় ২ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ১৭ বছরের কারাদণ্ড

রংপুররংপুরের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ ও মুন্নাকে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, হত্যাসহ ২১ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশকে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সে স্বীকার করে তার শ্যালক অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্নার রংপুর নগরীর গুড়াতি পাড়া মহল্লার বাড়িতে অস্ত্র আছে। পলাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে রাতে তার শ্যালক মুন্নার বাসার নিয়ে গেলে পুলিশ ও এলাকাবাসির উপস্থিতিতে আসামি মুন্নাদের বাড়ির রান্না ঘরের তাকে রাখা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় দেশীয় তৈরি একটি শার্টার গান ও দুই রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই হারেছ শিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেলা গ্রহণ শেষে আসামি পলাশ ও মুন্নাকে দোষি সাব্যস্ত করে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

অপরদিকে একই আদালতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চরচতুরা গ্রামে পীরমামুদের ছেলে জহুরুল হক ২০০৪ সালের ১৪ ফ্রেরুয়ারি একই গ্রামের কবি বেওয়া নামে এক বিধবা নারীর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করার চেষ্টা করলে কবি বেওয়ার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামি জহুরুল পিস্তল ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে কাউনিয়া থানার এসআই আতাউর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

মামলায় ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত আসামি জহুরুলকে দোষি সাব্যস্ত করে ১০ বছরের সম্যম কারদাণ্ডের আদেশ দেন।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আইনুন নাহার পাপড়ী। তিনি জানান, দুই অস্ত্র মামলাতে ৩ আসামিকে দোষি সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেন জানান, তারা ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন ।

/এআর/