তিস্তায় ধরা পড়লো ২২ কেজি ওজনের বোয়াল

জেলেদের জালে ধরা পড়ে ২২ কেজি ওজনের বোয়ালতিস্তা নদীর লালমনিরহাট অংশের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ২২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় জেলেদের জালে ওই উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেবমোড় এলাকায় তিস্তা নদীতে বিশাল ওজনের বোয়াল মাছটি ধরা পড়ে। বোয়াল মাছটি মা মাছ এবং পেটে ডিম রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় জেলে বাচ্চা মিয়া, রহম আলী ও সাইফুল আলীসহ কয়েকজন জেলে মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে নামেন। এক পর্যায়ে মাছটি জেলেদের জালে আটকা পড়লে মাছ ধরার যন্ত্র জুতি ব্যবহার করে মাছটি পানি থেকে ডাঙায় উঠানো হয়। পরে তা বিক্রির জন্য স্থানীয় তালেবমোড় নিয়ে এলে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বিশাল ওজনের বোয়াল মাছ ধরা পড়ার খবরে অনেকেই এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন।

স্থানীয় জেলে বাচ্চা মিয়া বলেন, তিস্তা নদীতে সব সময় সমানভাবে পানিপ্রবাহ চালু থাকলে হয়তো পানির সঙ্গে মাছও চলাচল করতো। আমরা মাছ ধরেই জীবন-জীবিকা করতে পারতাম। কিন্তু বর্ষাকালে পানি থাকলেও বাকি সময় তেমন পানি থাকে না। সেজন্য আমাদের ওই সময় পেশা পরিবর্তন করতে হয়। শীঘ্রই তিস্তার পানি চুক্তির মাধ্যমে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ চালু করা হোক।   

তিস্তা ব্যারাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রায় মাছ ধরা পড়ে কিন্তু বড় মাছ তেমনটা পাওয়া যায় না। হঠাৎ মাঝে মধ্যে বড় মাছ জেলেদের জালে বা জুতিতে ধরা পড়ে। মঙ্গলবার বোয়াল মাছটিও একইভাবে জেলেদের হাতে ধরা পড়েছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ বলেন, ‘এখন তিস্তায় বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমের তুলনায় বর্তমানে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বড় মাছও নদীতে ছুটে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগেই হয়তো স্থানীয় জেলেদের জালে বা জুতিতে বড় মাছ ধরা পড়ছে। তেমনভাবেই বোয়াল মাছটি ধরা পড়তে পারে।’

/বিএল/