ঈদের আগে ভিজিএফ এর গম পেল না ফুলবাড়ীর ৭ হাজার পরিবার

কুড়িগ্রামচেয়ারম্যানের অবহেলায় ঈদের আগে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ-এর গম পেল না বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ার ছড়াসহ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার হতদরিদ্র পরিবার। ফলে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে ওইসব হতদরিদ্র পরিবারের। তবে ফুলবাড়ী উপজেলার বাকি ৫ উপজেলায় ভিজিএফ এর গম বিতরণ করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের গাফিলতির কারণে ঈদের আগে ভিজিএফ এর গম পাননি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া ভিজিএফ এর খাদ্যশস্য আত্মসাতের পায়তারা করছেন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ। এজন্য ভিজিএফ বিতরণ করা হয়নি।

ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পানিমাছকুটি গ্রামের মজিদুল হক, এরশাদ আলী ও রাহিলা বেগম, ৪নং ওয়ার্ডের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলাম, ইব্রাহীম আলী ও ২নং ওয়ার্ডের রিয়াজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের পাশের ইউনিয়নের সব গরিব মানুষ ঈদের আগে গম পেলেও আমরা কিছুই পাইনি। প্রতি বছর ভিজিএফ এর সহায়তা পেলেও এবার ঈদের আগে আমাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি সাবেক নেতা আলতাফ হোসেন জানান, গত বছর ঈদেও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত বিলুপ্ত দাশিয়ার ছড়া ছিটমহলবাসীদের জন্য ১২শ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ঈদের আগে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এবার ঈদে ছিটমহলের জন্য ভিজিএফ’র কোনও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, ভিজিএফ এর বরাদ্দ পেলেও মাল না পাওয়ায় তা বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। ফুলবাড়ী উপজেলার অন্য ইউনিয়নে বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের জন্য ভিজিএফ এর মাল উত্তোলন করলে অন্যান্য ইউনিয়নগুলোর মানুষ ঈদের আগে ভিজিএফ এর মাল পেত না। এজন্য আমি মাল উত্তোলন ও বিতরণ করিনি।’

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও জানান, সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ঈদের আগে ভিজিএফ এর গম উত্তোলন করলেও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গমের পরিবর্তে চাল দাবি করায় তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

/বিএল/