বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি ভারতীয় কারাগারে

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্তে বাংলাদেশি আব্দুর রাজ্জাকা রাজ(৩৩) নামে গরু পারাপারকারী রাখালকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ)। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলীবাড়ী সীমান্ত এলাকার মৃত ইসরাফিল আলমের বড় ছেলে। আটক রাজ দুই সন্তানের জনক এবং তার একজন স্ত্রী রয়েছে।

বিজিবি-বিএসএফ অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে তাকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ। বরং অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান মামলায় তাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে বিজিবিকে জানানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি কোম্পানি সদর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৪-জুলাই) দিবাগত রাতে বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৪ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে অবৈধভাবে ভারতের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এসময় কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দল তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তাকে বেদম মারধর করা হয়েছে বলে সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার (১৫-জুলাই) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জাকির হোসেন ও কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুবাস শর্মার নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক বুড়িমারী জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পতাকা বৈঠকে আব্দুর রাজ্জাক রাজকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিএসএফকে কড়াপ্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান করা হয়। বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দাবী করেছেন যে, আব্দুর রাজ্জাক রাজের কাছে বাংলাদেশি ১৭ হাজার নগদ টাকা এবং মোবাইল সিম কার্ড পাওয়া গেছে। এ কারণে বিএসএফ সীমান্ত অনুপ্রেবেশ আইন ও চোরাচালান আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

/এমএইচ