বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কারাগারে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়দুর্নীতির মামলায় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল মিয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাজাহান আলী মণ্ডলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির অনুমোদন না নিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেন উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়া। শুধু তাই নয় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিল থেকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতন দিয়ে সরকারের ৯৮ লাখ টাকা ক্ষতি করেছেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুদক রংপুরের উপ পরিচালক আব্দুল করিম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীণ উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি মামলা করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী মণ্ডল, উপপরিচালক প্লানিং গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোরশেদ আলম রনি ও সহকারী পরিচালক খন্দকার আশরাফুল আলম। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রংপুরের উপ পরিচালক মোজাহার আলী সরকার উপাচার্য জলিল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আজ মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোসহ আসামিদের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকালে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী মণ্ডল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্ত আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল হক প্রামাণিক জানান, সাবেক উপাচার্য একজন বয়স্ক মানুষ। তাছাড়া উনি একজন খ্যাতনামা শিক্ষক। তাকে অন্যায়ভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। এর আগে তারা দুজনই হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও তিনি জানান।

/বিএল/