নীলফামারীতে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে ১৪ টাকা

নীলফামারীনীলফামারীতে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চালকল মালিক, আড়তদার, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পর একদফা চালের দাম কমিয়েছে জেলার ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে চালের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চাল ব্যবসায়ীরা মোটা চালের দাম কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৪ টাকা কমিয়েছে।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, কিছু মুনাফা লোভি ব্যবসায়ীরা চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। এসব অবৈধ চাল মজুদদারদের যেন ব্যাংক থেকে কোনও ঋণ দেওয়া না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহব্বান জানান তারা। সিসি ঋনের মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে চাল কিনে মজুদ করে চালের দাম বৃদ্ধি করছে।

সভায় জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম বলেন, চাল আমদানি উৎপাদন ও সরবারহে আগামী তিন মাস চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী চালের মূল্য কমানোর জন্য বিশাল ছাড় দিয়েছেন।

আজিজুল ইসলাম অটোরাইস মিলের মালিক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘নীলফামারীতে কোনও চালের সংকট নেই। প্রকৃত চাল ব্যবসায়ীরা চাল মজুদ করে সংকট তৈরি করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় এখন নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। বাজারে নতুন ধান এলে চালের দাম আরও কমবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সবাই মিলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো। আপনারা মোটা চালের দাম কমিয়ে দেওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারেরগুলো উপকৃত হবে।’ তিনি চাল ব্যবসায়ীদের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন। তবে কেউ যদি চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, তাহালে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলায় ৪৫ জন ওএমএস ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১৫ জন ও প্রতি উপজেলায় ৬ জন করে ডিলার রয়েছে। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে একজন ডিলার ১ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করবে। এ জন্য কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে।’