রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার আর ফিরিয়ে নেবে না, ওদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে: এরশাদ

রংপুরে এইচ এম এরশাদ (ছবি: প্রতিনিধি)প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যে গণহত্যা আর বর্বরতা চালানো হয়েছে তা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমার মনে হয় না রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। কোনোদিনই রোহিঙ্গাদের আর ফিরিয়ে নেবে না মিয়ানমার সরকার। এদের ভার আমাদেরই বহন করতে হবে। ওদের আশ্রয়-খাবারের ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।’

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরের দর্শনা এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করেন তিনি। পরে দর্শনায় আসেন।  

এরশাদ বলেন, ‘এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। এরপরও তাদের আমাদের দেশে আশ্রয় দিতে হবে স্থায়ীভাবে, সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে।’

তিনি মিয়ানমারের নেত্রী সুচির সমালোচনা করে বলেন, ‘অল্প কয়েকজন রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাবেন এটা তার ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। কারণ রোহিঙ্গাদের তো আইডি কার্ড নেই, ভিসা নেই; কিভাবে লাখ লাখ রোহিঙ্গদের মধ্য থেকে তাদের বাছাই করবে? শেষ পর্যন্ত ওদের বোঝা আমাদেরই বহন করতে হবে।’রংপুরে এইচ এম এরশাদ (ছবি: প্রতিনিধি)

আগামী সংসদ নির্বাচনে রংপুরের দুইটি আসন আওয়ামী লীগকে ছেড়ে দেবে জাতীয় পার্টি- এমন কথা শোনা যাচ্ছে বলে প্রশ্ন করা হলে এরশাদ বলেন, তিনি এ ধরনের কোনও খবর জানেন না। তবে রংপুরের ৬টি আসনেই জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবে এবং নির্বাচন করবে। তিনি বরেন, ‘দুটি আসনে ইতোমধ্যেই আমি প্রার্থী ঘোষণা করেছি। তারা কাজ করছে। ফলে এসব গুজবে কান না দেওয়াই ভালো।’

এরশাদ বলেন, ‘এবার নিজের নির্বাচনি এলাকায় আগাম নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে এবং রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পক্ষে প্রচারণা চালাতে রংপুরে এসেছি। আশা করি আমাদের প্রার্থী জয়ী হবে।’

এর আগে এরশাদ তার বাসায় এসে পৌঁছালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিয়ার রহমান রাঙ্গা, মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তফা সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরসহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী তাকে স্বাগত জানান।

আরও পড়ুন- বেশিরভাগ মানুষই সরকারি ত্রাণ পাচ্ছে না: এরশাদ