রসিক নির্বাচন

রাজনীতি করে আ.লীগ প্রার্থী কিভাবে বছরে ৪৫ লাখ টাকা আয় করেন: সুজন

রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭ মেয়র প্রার্থীর হলফনামায় দেওয়া আয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের দাখিল করা হলফনামায় রাজনীতি উল্লেখ করলেও তার বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮০ টাকা। রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কিভাবে বছরে ৪৫ লাখ টাকা আয় করেন?’ রবিবার রংপুরের চেম্বার অফ কর্মাস ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুজনের পক্ষ থেকে এসব প্রশ্ন তোলা হয়।

সুজনের সংবাদ সম্মেলনসংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হলফনামায় বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পেশা ব্যবসা, তার বাৎসরিক আয় ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার পেশা ব্যবসা দেখালেও, বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১০ লাখ ১২ হাজার টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়কারী রাজেন দে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের রংপুর অঞ্চলের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন মহানগর সভাপতি ফখরুল আনামসহ অন্যান্য নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন ব্যবসায়ী অপর ২ জনের মধ্যে সিপিবি-বাসদ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস কোনও পেশা উল্লেখ করেননি। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী পেশা দেখিয়েছেন রাজনীতি, আর রাজনীতিতেই তার বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮০ টাকা।

অন্যদিকে, ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন মেয়র প্রার্থীর সম্পদ আছে ৫ লাখ টাকার নিচে। ৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার সম্পদ আছে ১ জন প্রার্থীর, ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ আছে একজন মেয়র প্রার্থীর।

এছাড়া ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৪ জনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

তবে সুজন জানায়, প্রার্থীরা তাদের হলফনামায় যেসব তথ্য দিয়েছেন তা নির্বাচন কমিশন তদন্ত করতে পারেন, প্রয়োজনে প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল এমনকি নির্বাচনে জয়ী হবার পরেও ফলাফল বাতিল করতে পারে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সুজন।