মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা এলাকার দহগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে এই ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় কোচবিহার ৪৫-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক সুব্রত রায় নিজে বলেন, ‘আমরা বিজিবির আমন্ত্রণে দহগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভলিবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় থাকে। তবে এখানে জয়-পরাজয় মুখ্য বিষয় নয়। বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নই এই প্রতিযোগীতার মূল লক্ষ্য। ভলিবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজিবি-বিএসএফের সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল এবং সুদৃঢ় হলো। এই সম্পর্ক চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে বিএসএফ বিশ্বাস করে।’
অপরদিকে রংপুর-৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মাহফুজ উল বারী বলেন, ‘বিজিবি-বিএসএফের চমৎকার সম্পর্ক উন্নয়নে ও ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সম্পর্কেরও উন্নয়ন হচ্ছে। সীমান্তে বসবাসকারী অধিবাসীদের কাছে আমাদের উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিশেষ অনুরোধ, আপনারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবেন না। চোরাচালান ব্যবসায় জড়াবেন না। কারণ এই চোরাচালান ব্যবসার কারণে উভয় সীমান্ত বাহিনী তথা দেশের সুসম্পর্ক বিনষ্ট হয়। আপনার নিজে সীমান্তে যাবেন না, অন্যদেরও যেতে দেবেন না। তাহলে সীমান্তে কেউ আটকও হবে না। কেউ গুলিতে মারাও যাবে না। গুলিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হোক এটা কারও কাছে কাম্য নয়।’
ভারতীয় কোচবিহার-৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল সুব্রত রায়ের অনুরোধে দহগ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ব্যাংকার আব্দুর রাজ্জাক পায়রা উড়িয়ে ভলিবল খেলার উদ্বোধন করেন। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। তারা হাততালি দিয়ে বিজিবি-বিএসএফের খেলোয়াড়দের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেন। বিজিবি ও বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভলিবল প্রতিযোগিতার প্রথম সেটে ভারতীয় বিএসএফকে হারিয়ে বিজিবি বিজয় অর্জন করলেও দ্বিতীয় সেটে বিজিবিকে হারিয়ে বিএসএফ খেলায় সমতা ফিরে আনেন। কিন্তু তৃতীয় সেটে বিএসএফকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে বিজিবি। বিএসএফ টিমের অরুন কুমার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।