ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় হিলি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আবাসিক বাসভবন

ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় হিলি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আবাসিক বাসভবনদিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত বাসভবনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ভবনগুলোতে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ছোট বড় ফাটল। এর ফলে ভবনগুলি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ভবনগুলি মাদকসেবীদের আখড়া এবং অসামাজিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ।

হিলি রেলস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৮৬৮ সালে বৃটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক, ভৌগলিক ও ব্যবসার  অবস্থা বিবেচনা করে তৎকালীন সময়ে নির্মিত হয় দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশন। ওই সময় স্টেশনের কর্মকতা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত হয় বাসভবন। সেই বাসভবনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় হিলি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আবাসিক বাসভবনঅসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ১৯৬১ সাল থেকে রেলে চাকরি করছি। সেই সময় থেকেয় এই ভবনগুলি আমরা দেখে আসছি। সেসময় আমরা শুনেছি এগুলো বৃটিশ আমলে নির্মিত। যেগুলো ইংরেজরা নির্মাণ করে গিয়েছিল। বর্তমানে ভবনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে একেবারে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া  ভবনটি ভেঙে পরে  দুর্ঘটনাও  ঘটতে পারে। আর এই ভয়ে এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনও অফিসার ও স্টাফরা থাকেনা।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অনেকদিন ধরেই এই ভবনের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল ও আগাছা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ভবনটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এবং রাতে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। সরকার যদি ভবনটি ভেঙে ফেলে বা অন্য কিছু করে তাহলে স্থানীয়রা এখানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবে ।

ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় হিলি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আবাসিক বাসভবনহিলি রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ ‘আমাদের রেলওয়ের লোকদের থাকার জন্য যে বাংলোটি রয়েছে সেটি অনেকদিন আগে থেকেই পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে আর কেউ থাকেন না। তবে ওই ভবনের আশেপাশে যেসব লোকজন বসবাস করেন তাদের যাতায়াতের সমস্যা হয়ে গেছে। ভবনের যে সিড়িগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে সেগুলো যে কোনও সময় পড়ে গিয়ে  দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিলামের মাধ্যমে নিয়ে যায় বা এটি সরকারিভাবে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয় সেক্ষেত্রে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের  যদি কোনও  কার্যক্রম থেকে থাকে তাহলে সে বিষয়টি আমি দেখবো। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  আলোচনা করে পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহণ করবো।