শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সুষ্ঠ নির্বাচন আর জনগণের দেওয়া ভোটে আমরা একটা বিজয় পেলাম। অনেক বাধা অতিক্রম করে বিজয়ী হয়েছি। এ বিজয় গণতন্ত্রের, এ বিজয় নির্বাচন কমিশনের, এ বিজয় সুন্দরগঞ্জবাসীর। কিন্তু পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা দেখে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সুন্দরগঞ্জে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে জাপার দলীয় কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাইক্রোবাস ভাঙচুর চালায় এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভোট গণনা কন্ট্রোল রুম থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন। লাঙল প্রতীকের ব্যরিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফরুজা বারী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯১৩ ভোট।
রংপুর অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা-১ আসনের রিটার্নিং অফিসার জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘১০৯ কেন্দ্রে ফলাফলে লাঙল প্রতীকে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-ভাঙচুরের অভিযাগের বিষয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। পরে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন গোলাম মোস্তফা আহমেদ। কিন্তু তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে আবারও শূন্য হয় আসনটি।