কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ স্কুল, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলকালবৈশাখী ঝড়ে নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকায় ঘরবাড়ি,  ফসলের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১০ মে ওই তিন উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে জলঢাকার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রমসহ ও পাঠদান। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ে কোনও কোনও স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ভেঙে গেছে। কোথাও আধাপাকা শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল উড়ে গেছে। সব মিলিয়ে উপজেলার ৩০টি স্কুলে ক্ষতির পরিমাণ ৬১ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা।

উপজেলার উত্তর বগুলাগাড়ী মাস্টারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষের টিন দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। যা এখনও মেরামত করতে পারিনি। তাই আকাশের নিচে শিশুদের পড়াতে হচ্ছে। একটু মেঘ দেখলেই বাচ্চাদের ছুটি দিতে বাধ্য হই। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।’

জলঢাকা পৌরসভা কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়েন উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার চারটি শ্রেণিকক্ষের কোনোটির অস্তিত্ব নেই। মাটিতে চট বিছিয়ে ও অবশিষ্ট কিছু বেঞ্চ দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। জরুরি ভিত্তিতে ঘড় তৈরি ও মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন।’

গড়ধর্মপাল এসএসসি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের ৯টি শ্রেণিকক্ষের চাল ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় নবম ও দশম শ্রেণি বাদ দিয়ে বাকিদের একাডেমিক ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে।’

জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ও ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে এরইমধ্যে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজল কুমার সরকার বলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করে একটি চাহিদাপত্র জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এখন পর্যন্ত কোনও বরাদ্দ পাইনি। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত তিন উপজেলায় তা দ্রুত পাঠিয়ে  দেওয়া হবে।’