ভিজিএফ’র চাল লোপাটের ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ১৩৯ জন দুঃস্থ পরিবারের ভিজিএফের চাল কালোবাজারে বিক্রি, ওজনে কম ও আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএসএম সাদেকুর রহমান তদন্ত করেছেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভাতগ্রাম ইউনিয়নে ভিজিএফ’র কর্মসূচির আওতায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার দুঃস্থ পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। সেই চাল ১৩৯ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়নি। এসব পরিবারের প্রায় ২৮ বস্তা চাল স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এছাড়া সুবিধাভোগী প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও অনিয়মের মাধ্যমে ৭ কেজি করে বিতরণ করা হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ত্রাণ ও পুর্নাবাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলীর নির্দেশে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। 

তদন্তের দায়িত্বে থাকা সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএসএম সাদেকুর রহমান জানান, তদন্তে অভিযোগকারী ও সুবিধাভোগীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। এছাড়া অভিযুক্ত চেয়ারম্যানও তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তবে তদন্তে তিনি কী পেয়েছেন তা জানাননি। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে  পাঠানোর কথা জানান তিনি।

বঞ্চিতাদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ তুলে না ধরে পক্ষে কথা বলতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেয় চেয়ারম্যানের লোকজন। এছাড়া তদন্তে আসার সময় তাদের বাধাও দেওয়া হয়। ঈদের আগে চাল থেকে বঞ্চিত হয়ে বর্তমানে হুমকি-ধামকিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে এসব সুবিধাভোগী মানুষের মধ্যে।

তবে চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কাউকে হুমকি-ধামকির অভিযোগ সত্য নয়। সুষ্ঠুভাবে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবগত আছেন। তাকে হয়রানি করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’