বাড়তি শুল্কেই হিলিতে চাল খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা

চাল খালাস চলছেঅবশেষে বাড়তি শুল্ক দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে চাল খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা। শুল্ক জটিলতার কারণে দেড় মাসেরও বেশি সময় চালগুলো আটকা ছিল। এরই মধ্যে ৪ হাজার টন চাল খালাস করা হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাস্টমস ও এনবিআরের কাছে আবেদন এবং পরে হাইকোর্টে রিট করা হলেও কোনও ফলাফল না হওয়ায় চালগুলো খালাস করে নিয়েছি। আমাদের মতো অনেকেই চাল খালাস করে নিচ্ছেন।’

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নতুন বাজেটে চালের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর আগেই ভারত থেকে গত ৫ ও ৬ জুন প্রায় ১২ হাজার টন চাল আমদানি করেন আমদানিকারকরা। এরমধ্যে ৪ হাজার টন চাল ২ ভাগ শুল্কে বন্দর থেকে ছাড় করতে পারলেও বাজেটের কারণে ৬ জুন বিকাল থেকে সার্ভার বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৮ হাজার টন চাল আটকা পড়ে যায়। ৭ জুন চলতি বছরের বাজেটে চালের আমদানি শুল্ক ২ ভাগ থেকে ২৮ ভাগ করার কারণে আমদানিকারকরা লোকসানের আশঙ্কায় চাল খালাস বন্ধ রেখেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ১৬ জন আমদানিকারক হাইকোর্টে রিট করেন। তবে কোনও সুরাহা না হওয়ায় ও চালের মান খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় চাল খালাস করে নিচ্ছি আমরা।’

হিলি স্থলবন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) অশিত স্যানাল বলেন, দীর্ঘদিন বন্দরে আটকে পড়া চালগুলো খালাস করে নিচ্ছেন আমদানিকারকরা। শুল্ক জটিলতায় বন্দরে প্রায় ৮ হাজার টন চাল আটকা পড়েছিল। আমদানিকারকরা প্রতিদিনই চাল খালাস করছেন। ফলে আগামী দু-একদিনের মধ্যে বন্দরে আটকে থাকা সব চাল খালাস হয়ে যাবে।