পঞ্চগড়ে গরুর দাম কমায় ক্রেতারা খুশি, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা





পঞ্চগড়ে গরুর হাটপঞ্চগড় জেলার সীমান্ত এলাকার হাটবাজারগুলোতে কোরবানির ঈদের গরুর দাম কমেছে। দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় কমেছে গরুর দাম। তবে দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা খুশি হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারি ও কৃষকেরা।দাম কমে যাওয়ায় লোকসান এড়াতে ভারতীয় গরু আসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
পঞ্চগড় শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার ক্রেতা মুকসেদুজ্জামান সিটু বলেন, ‘কোরবানির পশুর দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। দেশীয় গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু আসায় এবার গরুর দাম কমেছে। গত বছর যে গরু কিনতে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা লাগতো এবার তা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় কেনা যাচ্ছে।’
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার ক্রেতা হকিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিকে বাইরে থেকে ক্রেতা আসায় গরুর বাজার চড়া দাম ছিল। ক্রেতা না থাকায় এখন দাম কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও গরু আসছে। দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা স্বস্তির মধ্যে আছেন।’
গরু বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিক্রির জন্য দুই বছর ধরে গরুটি পুষেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। গরুর দাম চেয়েছি দেড় লাখ টাকা কিন্তু ক্রেতারা বলছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। বর্তমান যে বাজার তাতে গরু বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা আসল উঠবে কি না বুঝতে পারছি না।’
বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি এলাকার খামারি জাহিদ বলেন, ‘৩টি গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। তিন বছরে গরুর পেছনে খরচ হয়েছে আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। গরুর দাম চেয়েছি ৩ লাখ টাকা। দাম বলছে ২ লাখ টাকা। প্রচুর দেশি গরু এবং ভারত থেকে অবৈধপথে গরু আসায় দাম কমে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামারি ও কৃষক।’
পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, ‘জেলায় প্রায় ৬ হাজার ২৯০ জন খামারি ৪৬ হাজার ৩৪৬টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেনে। এর মধ্যে ২৬ হাজার ৮৪৬টি গরু এবং ১৩ হাজার ২১০টি ছাগল রয়েছে। এবার পঞ্চগড়ের চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি পশু হাটবাজারে উঠছে। এবার কোরবানির গরুর কোনও কমতি হবে না।’