কুড়িগ্রামে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু

১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছেসারাদেশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরুর কথা ছিল। তবে দেশের অনেক জেলার মতো কুড়িগ্রামে ৯ দিন পর সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রাথম পর্যায়ে  উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও রৌমারী উপজেলায় এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই অন্যান্য উপজেলায় খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচির শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

যোগাযোগ করা হলে রাজারহাট,রৌমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে এ কর্মসূচির আওতায় কার্ডধারী হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

উলিপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে নিবন্ধিত ডিলারদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সুবিধাভোগী হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের বস্তা নিচ্ছেন।  

১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছেউলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের ডিলার গোলাম কিবরিয়া রাজু বলেন, ‘আমরা আজ থেকে চাল বিক্রি শুরু করেছি। আগামী তিন মাস সপ্তাহে তিন দিন ১০ টাকা কেজি দরে এই চাল বিক্রি হবে।’ তবকপুর ইউনিয়নে চারজন ডিলারের মাধ্যমে ২৬০১ জন হতদরিদ্র এই সুবিধা পাবেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ডিলারদের ডেকে নির্দেশনা দিয়েছি।  কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় পুষ্টি চাল বিতরণ করা হবে বিধায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে চাল বিক্রি শুরু হবে।’

চিলমারী উপজেলার ডিলার মাজেদুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘আমরা আজ (১০ সেপ্টেম্বর) চাল উত্তোলন করেছি। আগামীকাল (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিক্রি শুরু করবো।’

১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে

২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও নভেম্বর এই ৫ মাস ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হয়। বছরের এই মাসগুলোতে শ্রমজীবী মানুষগুলোর কাজের অভাব থাকে। ফলে এই পাঁচ মাস তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।

কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার এ কর্মসূচির আওতায় চাল পাচ্ছে।  কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজিতে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে।