কুড়িগ্রাম থেকে ফের চলতে শুরু করেছে হানিফ পরিবহন

হানিফ পরিবহনের একটি বাসছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কাউন্টারে তালা ঝোলানোর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাত থেকে আবারও কুড়িগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের গাড়ি চলতে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়িগ্রাম জেলা বাস-মিনিমাস শ্রমিক ইউনিয়নের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, শ্রমিকদের জীবিকার বিষয় এবং যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বাস শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলীর সঙ্গে উদ্ভূত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলে তিনি গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেন। পরে সদর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আশ্বাসে সোমবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়াস্থ হানিফ কাউন্টার খোলা হয়। সোমবার রাত থেকে কোনও ধরণের সমস্যা ছাড়াই জেলা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে হানিফ পরিবহনের গাড়ি ছেড়ে যায়।

কুড়িগ্রাম মোটরমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতা ও শ্রমিকদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার পর হানিফ পরিবহনের গাড়ি চলতে শুরু করেছে। আশা করি, পরবর্তীতে কোনও সমস্যা হবে না।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মাহফুজার রহমান জানান, হানিফ পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করা নিয়ে আমি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় খোঁজ নিয়েছি। কোনও জেলায় কোম্পানিটির গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়নি। পরে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা গাড়ি চালানোর বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নির্বিঘ্নে গাড়ি চালানোর ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পরে রাত থেকে পরিবহনটি গাড়ি কুড়িগ্রাম ছেড়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবিতে সোমবার সকালে হানিফ পরিবহনের কুড়িগ্রাম কাউন্টার বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের কুড়িগ্রামের নেতাকর্মীরা। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুজ্জামান রাকিব জানান, হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাই ছাত্রলীগ পরিবহনটির কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই হানিফ দেশে ফিরে আত্মসমর্পন করুক।