আজ লালমনিরহাট আসছেন মির্জা ফখরুলসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা


লালমনিরহাটএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন লালমনিরহাটে নিহত তোজাম্মেল হকের বাড়িতে আজ সোমবার (২১-জানুয়ারি) আসছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও সঙ্গে আসছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জাসদ (রব) আ স ম রব, বিএনপির বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।



ঢাকা থেকে বিমানে করে সৈয়দপুর এবং সৈয়দপুর থেকে সড়কপথে রংপুরের কাউনিয়া হয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট এলাকার নিহত মোজাম্মেল হকের কবর জিয়ারত, মোনাজাত এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করবেন তারা। তোজাম্মেলের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হবে। লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতারা লালমনিরহাট জেলা শহরে আসছেন না। তারা নিহত তোজাম্মেল হকের গ্রামের বাড়ি থেকে সোজা রংপুর হয়ে সৈয়দপুর থেকে বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।’
এদিকে ভোটের দিন তোজাম্মেল নিহত হওয়ার ঘটনায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফাসহ ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
অপর আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যানের ভাই খোলাইঘাট এলাকার মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার, দুই সহোদর আঙ্গুর মিয়া(৩৫) ও লেবু মিয়া(৩০), সিদ্দিক আলী(৩৮), শাহীন(২৮), মহাসিন আলী(৪০), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) এবং মজি (৪০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ব্যক্তি পাগলারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পথে রওনা হয়। রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফাসহ সমর্থকরা তার বাড়ির সামনের রাস্তায় তোজাম্মেল হকসহ তাদের পথরোধ করেন এবং ভোটদানে বাধা দেন। দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এজাহার নামীয় আসামিরা তোজাম্মেলকে মারধর করে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা।
নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী মো. মোস্তফা বলেন, ‘শুনেছি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা আসবেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানি না। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই। এটাই আমাদের চাওয়া।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বলেন, ‘তোজাম্মেল হক রাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। নির্বাচনের দিন ধানের শীষে ভোট দিতে যেতে চাওয়ায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নিতে এবং কবর জিয়ারত করার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা দুপুর ১২টায় রংপুর হয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট এলাকায় যাবেন। তবে কোনও জনসভার আয়োজন থাকছে না।’