তিনি আরও জানান, এগুলো ঢাকা হয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হচ্ছে। এরপর এগুলোর র্যাক তৈরি করে ট্রায়াল রানে তোলা হবে। পরে যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত দেশে যে ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেন আছে তার মধ্যে একটিতেও এগুলোর মতো অত্যাধুনিক সুবিধা নেই। এ রেলকোচের আসনগুলো খুবই আরামদায়ক এবং রেল কোচগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
সূত্র জানায়, রেলে যুক্ত করার জন্য ব্রডগেজ ও মিটারগেজ উভয় ধরনের কোচ কেনা হচ্ছে। ২০০টি মিটারগেজ কোচের খরচ ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা।
অপরদিকে, ৫০টি ব্রডগেজ কেনায় খরচ ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা। প্রতিটি কোচের আমদানি মূল্য ৫ কোটি টাকা। ওই ৫০টির মধ্যে ১০টি দেশে এসেছে। বাকিগুলো পরবর্তী দুটি শিপমেন্টে আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রেল কোচগুলো সৈয়দপুর পৌঁছাতে আরও দুই দিন সময় লাগবে।’
তিনি জানান, এসব কোচে প্রথমবারের মতো বায়োটয়লেট যুক্ত করা হচ্ছে। এতদিন ট্রেনের টয়লেট থেকে বর্জ্য সরাসরি লাইনের ওপর পড়তো। এখন থেকে প্লেনের মতো বর্জ্য বায়োটয়লেট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট স্থানে জমা হবে। পরে এগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে পরিবেশ ও রেলকোচ দুটোই দূষণমুক্ত থাকবে।
এছাড়াও আরও ২০০টি মিটারগেজ কোচ ৯টি শিপমেন্টে আসবে। ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকো) নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব কোচ তৈরি করছে। সেখান থেকে জাহাজে এসব কোচ সরাসরি চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।
রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, অনেক পুরনো ব্রডগেজ রেল কোচগুলোর জায়গায় নতুন কোচগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। শিপমেন্ট ঠিকমতো হলে নতুন দুয়েকটি ট্রেনও চালু হতে পারে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) (ভারপ্রাপ্ত) মো. জয়দুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ব্রডগেজ বগির ওপর কোচগুলো স্থাপন করে যাচাই বাছাইয়ের পর দুই ধাপে ট্রায়াল দেওয়া হবে। ট্রায়াল রান শেষে কোচগুলো ট্রেন চলাচলের জন্য বিভিন্ন রুটে ছেড়ে দেওয়া হবে।’