কুড়িগ্রামে রাউফুন বসুনিয়ার ৩৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত

 

ঢাবিতে স্থাপিত রাউফুন বসুনিয়ার প্রতিকৃতি (ছবি সংগৃহীত)১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে চালানো হামলায় শহীদ হন রাউফুন বসুনিয়া। বুধবার পালিত হয়েছে তার ৩৪তম শাহাদাত বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ রাউফুন বসুনিয়া স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সকালে রাজারহাটের পাইকপাড়া গ্রামে শোক র‌্যালি, বসুনিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ রাউফুন বসুনিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি এসএম ছানালাল বকসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হারুন অর রশীদ লাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ এবং বাসদ নেতা নজরুল ইসলামসহ আশির দশকের স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বসুনিয়া যে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তা ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লিখা থাকবে। বসুনিয়ার রক্তের ধারা বেয়েই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচারি সামরিক সরকারের লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডাবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাউফুন বসুনিয়াকে গুলি করে হত্যা করে। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বসুনিয়ার পুত্র। বসুনিয়া বাকশাল সমর্থিত জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।