মার্চেই খুলে দেওয়া হচ্ছে কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা সড়ক

মার্চেই খুলে দেওয়া হচ্ছে কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা সড়ক

কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের যে কোনও দিন সড়ক‌টি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন।

কু‌ড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার প্র‌তিশ্রুতি অনুযায়ী কুড়িগ্রাম শহরের ত্রি-মোহনী মোড় থেকে রাজারহাট হয়ে তিস্তা পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কের ১২ ফিট থেকে ১৮ ফিট প্রশস্তকরণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সড়ক‌টিতে মোট ৬টি কালভার্ট ও দুই‌টি ব্রিজ সংযোজন করা হয়েছে। এ প্রকেল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যার মূল ডি‌পি‌পিভুক্ত কাজ এরইমধ্যে শেষ পর্যায়ে। সংশোধিত ডিপিপির কাজ (অর্নামেন্টাল ও ড্রেন নির্মান) আগামী জুনে শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।




কুড়িগ্রাম থেকে রাজারহাট উপজেলায় ঢোকার সময় এই সড়কটি নানা কারণে জেলার সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাজারহাট উপজেলায় ঢুকার সময় এই সড়ক দিয়ে তিস্তা হয়ে রংপুর গেলে দূরত্ব ৭ কিলোমিটার কম হবে। দূরত্ব ও সময় কম লাগার কারণে অনেকের কাছে এই সড়কটি গুরুত্ব অনেক বে‌শি। কুড়িগ্রামবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম সফরে সড়ক প্রশস্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্র‌তিশ্রু‌তি দ্রুত বাস্তবায়নে খু‌শি জেলার ব্যবসায়ী, প‌রিবহন মালিক-শ্র‌মিকসহ সব পর্যায়ের মানুষ।
কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক রায়হান কবির বলেন,‘এ প্রকল্পটি কুড়িগ্রামকে অন্য জেলার সমান উন্নত করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। প্রকল্পটি এই জেলার সড়ক যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

সড়কটি সব ধরণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্দরে আমদানি রফতানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী জামান আহমেদ বলেন, ‘এটা সত্যিই অনেক স্বস্তির খবর। এ সড়কের জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ই উপকৃত হবে। পরিবহণ ব্যয় ও সময়ও কম লাগবে। জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নও তরান্বিত হবে।’

ট্রাক চালক মনোয়ার হোসেন বলেন,‘এই সড়কটি চওড়া (প্রশস্ত) হওয়ার ফলে আমাদের ভোগান্তি অনেক কমবে। মালামাল পরিবহণে খরচও কমে যাবে। এটা আমাদের অনেকদিনের দাবি ছিল। রাস্তার জন্য সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।’


কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত একটি প্রকল্প। এরইমধ্যে প্রকল্পের মূল ডি‌পি‌পি’র কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা কর‌ছি চল‌তি মাসে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে পারবো। অন্যান্য অর্নামেন্টাল কাজ শেষে আগামী জুনে সড়ক‌টি হস্তান্তর করা হবে এবং তখন সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা সড়ক প্রশস্তকরণের কাজের উদ্বোধন করেন। দু‘বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সম্পন্ন হচ্ছে বলে কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।